Monday, June 30, 2025

মানুষকে পশু-সুলভ আচরণে পরিণত হওয়ার কারণ

💬 : 0 comment

🟥 মানুষকে পশু-সুলভ আচরণে পরিণত হওয়ার কারণ মানুষকে আল্লাহ তাআলা আশরাফুল মাখলুকাত (সৃষ্টির সেরা) হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু মানুষ যখন তার বিবেক, আত্মা ও চিন্তাশক্তিকে অবমূল্যায়ন করে, তখন সে পশুর মতো আচরণ করতে শুরু করে — এমনকি কুরআনের ভাষায়, \u0026quot;তাদের চেয়ে অধম\u0026quot; পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। --- 🔍 পশু-সুলভ আচরণ কী? পশুদের মধ্যে যা দেখা যায় — ✅ শুধুমাত্র খাওয়া, ঘুমানো, যৌন বাসনা, হিংস্রতা, নিজের লাভ, অন্যকে আঘাত ইত্যাদি — এগুলোই যখন মানুষের জীবনের মূল হয়ে যায়, তখন তার আচরণ পশুর মতো হয়ে পড়ে। --- ⚠️ মানুষকে পশ…

Read more »

আত্মজ্ঞান বা আত্ম-পরিচয় (আত্মপরিচয়ের অর্থ ও গুরুত্ব)

💬 : 0 comment

🔷 আত্মজ্ঞান বা আত্ম-পরিচয় (আত্মপরিচয়ের অর্থ ও গুরুত্ব) আত্মজ্ঞান (Self-knowledge বা Self-realization) অর্থ হলো — 👉 নিজেকে চেনা, কে আমি, কেন আমি, আমার সৃষ্টি কী উদ্দেশ্যে — এ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা লাভ করা। --- ✅ আত্মজ্ঞান কী? \u0026quot;আত্মজ্ঞান\u0026quot; শব্দটি মূলত দুইটি অংশে বিভক্ত: আত্ম \u003d নিজ সত্তা, আত্মা বা নিজের অস্তিত্ব জ্ঞান \u003d জানা বা উপলব্ধি করা 📌 অর্থাৎ, আত্মজ্ঞান হলো — নিজের প্রকৃত পরিচয় ও উদ্দেশ্য উপলব্ধি করা। --- 🕌 ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মজ্ঞান ইসলামে আত্মজ্ঞান মানে শুধু নিজের নাম, পরিচয়, পরিবার জানা নয় — বর…

Read more »

"সাগিরা গুনাহ কাবিরা গুনাহে পরিণত হওয়ার কারণসমূহ"

💬 : 0 comment

\u003cstrong\u003e সগীরা (ছোট গুনাহ)\u003c/strong\u003e কিভাবে \u003cstrong\u003e কাবিরা গুনাহ (বড় গুনাহ)\u003c/strong\u003e হয়ে যেতে পারে — এই বিষয়টি ইসলামী শরীয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। কিছু ছোট গুনাহ যদি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে হয় বা একাধিক বার ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়, তাহলে সেগুলো বড় গুনাহ হিসেবে পরিণত হতে পারে। নিচে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিচ্ছি: 🟥 \u003cstrong\u003e সাগিরা গুনাহ কাবিরা গুনাহে পরিণত হওয়ার কারণসমূহ\u003c/strong\u003e ১. \u003cstrong\u003e গুনাহকে হালকা মনে করা\u003c/strong\u003e যদি কেউ বলে বা মনে করে: “এটা তো সামান্য গুনাহ, কিছু হবে না”— \nতবে এমন মনোভাবের কারণে সেই গুনাহ \u003cstrong\u003e গুরুতর কাবিরা গুনাহে\u003c/strong\u003e রূপান্তরিত হতে পারে। ২. \u003cstrong\u003e গুনাহ বারবার করা (অভ্…

Read more »

তাজিয়া কি জায়েয?

💬 : 0 comment

তাজিয়া বের করা বা \u0026quot;তাজিয়া বার করা\u0026quot; মহররমের বিশেষ দিনে বিশেষ করে ১০ই মহররম (আশুরা) উপলক্ষে অনেক মুসলমানদের মধ্যে প্রচলিত একটি প্রথা, যা মূলত শোক প্রকাশের উদ্দেশ্যে করা হয় — বিশেষ করে শিয়া মুসলমানদের মধ্যে। তবে সুন্নি মুসলমানদের মধ্যেও কিছু অঞ্চলে এটি দেখা যায়। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে: শিয়া মতানুসারে: তাজিয়া একটি স্মারক প্রতীক যা কারবালার শহীদ হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ)-এর স্মরণে বানানো হয়। এটি তাদের কাছে ইমামের প্রতি ভালোবাসা, শোক ও আনুগত্যের প্রকাশ। তাই তারা এটিকে জায়েজ মনে করে। সুন্নি মতানুসারে: অ…

Read more »

Thursday, June 26, 2025

মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক কে

💬 : 0 comment

🩺 আজ-জাহরাবি (Al-Zahrawi) — মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক পুরো নাম: আবুল কাসিম খালাফ ইবনে আব্বাস আজ-জাহরাবি (Abu al-Qasim Khalaf ibn al-Abbas Al-Zahrawi) জন্ম: আনুমানিক ৯৩৬ খ্রিস্টাব্দ মৃত্যু: ১০১৩ খ্রিস্টাব্দ স্থান: আন্দালুস (বর্তমান স্পেনের কর্ডোভা) --- 🧠 পরিচিতি ও অবদান: আজ-জাহরাবি ছিলেন ইসলামী স্বর্ণযুগের একজন শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক ও শল্যচিকিৎসক (surgeon)। ইউরোপে তিনি পরিচিত ছিলেন Abulcasis নামে। --- 📘 প্রধান গ্রন্থ: আত-তাসরিফ (At-Tasrif) ৩০ খণ্ডের একটি বিশাল মেডিকেল এনসাইক্লোপিডিয়া। এতে ২০০টির বেশি অস্ত্রোপচারের যন্…

Read more »

কোন সময় নামাজ পড়া নিষেধ।

💬 : 0 comment

নামাজ কিছু নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করা নিষিদ্ধ (মাকরুহ তাহরিমি), যেগুলিতে নামাজ পড়লে সাধারণত তা গ্রহণযোগ্য হয় না, বিশেষ করে নফল নামাজ। এই নিষিদ্ধ সময়গুলো হলো: 🕓 ১. সূর্যোদয়ের সময় (সূর্য উঠার সময়): যখন সূর্য ঠিক উঠতে শুরু করে, তখন থেকে প্রায় ১৫-২০ মিনিট পর্যন্ত নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। এই সময় সূর্য পূজারীদের উপাসনার সাথে মিল থাকে বলে ইসলামে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। 🕙 ২. ঠিক দুপুরে (যখন সূর্য ঠিক মাথার উপর): যোহরের কিছু আগে, যখন সূর্য একদম মাথার ওপরে থাকে — এই সময়টুকুতে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। তবে জুমার দিন এই নিষেধাজ্ঞা…

Read more »

Wednesday, June 25, 2025

নামাজের সময় যদি মুখে থুতু (লালা) চলে আসে

💬 : 0 comment

নামাজের সময় যদি মুখে থুতু (লালা) চলে আসে, তাহলে করণীয় বিষয়গুলো হলো: 🕌 যদি সামান্য থুতু হয়:\u003cstrong\u003e গিলে ফেলতে পারো\u003c/strong\u003e , এতে নামাজ ভঙ্গ হবে না। এটা অনেক সময় স্বাভাবিকভাবেই ঘটে এবং শরিয়তে গুনাহের কিছু নেই। 🧕 যদি বেশি থুতু হয় বা অস্বস্তিকর লাগে:\u003cstrong\u003e বাম দিকে থুতু ফেলা\u003c/strong\u003e উত্তম, তবে:\nযদি মসজিদে থাকো বা আশেপাশে নাপাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে \u003cstrong\u003e রুমালে\u003c/strong\u003e , \u003cstrong\u003e টিস্যুতে\u003c/strong\u003e বা নিজের জামার এক পাশে (যা অপবিত্র না হয়) ফেলতে পারো। বাম দিকে থুথু ফেলার হাদিস আছে, তবে সেটা এমনভাবে যাতে কারো প্রতি বা সম্মানিত দিকে না হয়। ❌ যে কাজগুলো না করা উচিত:\u003cstrong\u003e মসজিদের মধ্…

Read more »

Monday, June 23, 2025

কে মাযহাব আবিষ্কার করেছেন।

💬 : 0 comment

\u0026quot;মাযহাব\u0026quot; (مذهب) শব্দটির অর্থ হলো: পথ, মতবাদ বা পন্থা। ইসলামে মাযহাব বলতে বোঝানো হয় কুরআন ও হাদীসের ভিত্তিতে গঠিত নির্দিষ্ট একধরনের শরঈ ব্যাখ্যার পদ্ধতি, যা কোনো ইমামের অনুসারীরা গ্রহণ করেন। মাযহাব আবিষ্কার কোনো একক ব্যক্তির তৈরি করা বিষয় নয়, বরং সময়ের সাথে ধীরে ধীরে গঠিত হয়েছে মুসলিম উলামাদের ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ ও চিন্তার মাধ্যমে। তবে ইতিহাসে চারটি প্রধান সুন্নি মাযহাব রয়েছে, এবং সেগুলোর ইমামদের নাম অনুযায়ী চিহ্নিত করা হয়। চারটি প্রধান সুন্নি মাযহাব ও তাদের প্রতিষ্ঠাতা: 1. হানাফি মাযহাব – প্র…

Read more »

Saturday, June 21, 2025

নামাজে আমিন বলার বিধান কি?

💬 : 0 comment

নামাজে \u0026quot;আমিন\u0026quot; বলা নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে কিছু ভিন্নমত আছে, বিশেষ করে তা সালাতের ধরন (জামাত বা একা) এবং মাযহাব অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। ১. জামাতে (বিষেষ করে ফরজ নামাজে) আমিন জোরে বলা: হানাফি মাযহাব: ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার সময় আমিন আস্তে বলাই উত্তম। অনেকে মনেই বলে থাকেন, মুখে উচ্চারণ না করে। শাফি\u0026#39;ী, হাম্বলী ও মালিকী (কোনো মত অনুযায়ী): ইমাম যদি জোরে কিরাত পড়ে, তাহলে জোরে আমিন বলাও সুন্নত এবং উত্তম। সহীহ হাদীসে আছে, রাসূল (সা.) সাহাবীদের সাথে আমিন বলতেন, এবং তা মসজিদে গুঞ্জনের মতো শোনা যেত। \u0026gt; হাদিস: “…

Read more »

Thursday, June 19, 2025

প্রশ্ন: “মাযহাব কি মানতেই হবে?”

💬 : 0 comment

প্রশ্ন: “মাযহাব কি মানতেই হবে?” এর উত্তর ইসলামি জ্ঞান ও ফিকহের আলোকে দেওয়া যায়: --- 📌 সংক্ষেপে উত্তর: হ্যাঁ, একজন সাধারণ মুসলমানের জন্য মাযহাব মানা প্রয়োজনীয়, কারণ সে নিজে কুরআন-হাদীস থেকে সরাসরি সবকিছু বুঝে শরীয়তের হুকুম নির্ণয় করতে অক্ষম। তবে, অন্ধভাবে মাযহাব মানা (যা কুরআন-হাদীসের সুস্পষ্ট নির্দেশের বিপরীত হয়) সেটা ইসলাম অনুমোদন করে না। --- 🕌 মাযহাব কী? “মাযহাব” শব্দের অর্থ: মতপথ বা পথচলা। ইসলামে এটি সাধারণত চারটি প্রধান ইমামের প্রতিষ্ঠিত ফিকহি মতবাদ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়: 1. হানাফি (ইমাম আবু হানিফা রহ.) 2. মালিকি…

Read more »

Wednesday, June 18, 2025

অজু করার সময় "বিসমিল্লাহ" বলা সুন্নত

💬 : 0 comment

অজু করার সময় \u003cstrong\u003e \u0026quot;বিসমিল্লাহ\u0026quot; বলা সুন্নত\u003c/strong\u003e , এবং অনেকে একে অজুর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ মনে করেন। তবে এটি \u003cstrong\u003e অবশ্য (ফরজ বা ওয়াজিব)\u003c/strong\u003e নয়। বিস্তারিত ব্যাখ্যা: 🔹 \u003cstrong\u003e হাদীস থেকে প্রমাণ\u003c/strong\u003e : \nরাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “যে ব্যক্তি অজুর শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে না, তার অজু পূর্ণ হয় না।” \n— (আবু দাউদ, হাদীস: ১০১) 🔹 \u003cstrong\u003e ইমামদের মতামত\u003c/strong\u003e :\u003cstrong\u003e হানাফি ও মালিকি মাযহাব\u003c/strong\u003e : বিসমিল্লাহ বলা সুন্নত বা মুস্তাহাব। না বললে অজু সহীহ, কিন্তু ফজিলত কমে যাবে।\u003cstrong\u003e হানবালি মাযহাব\u003c/strong\u003e : এটি ওয়াজিব বলে থাকেন, ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দিলে অজু শুদ্ধ হয় না।\u003cstrong\u003e শাফেয়ি মাযহাব\u003c/strong\u003e : সুন্ন…

Read more »

Tuesday, June 17, 2025

নামাজে কোথায় হাত বাঁধবেন?

💬 : 0 comment

নামাজে হাত বাঁধার স্থান ইসলামি চারটি প্রধান মাযহাব অনুযায়ী কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে। নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো: ১. \u003cstrong\u003e হানাফি মাযহাব\u003c/strong\u003e : হাত \u003cstrong\u003e নাভির নিচে\u003c/strong\u003e বাঁধা সুন্নত। ডান হাত বাম হাতের উপর থাকবে, কব্জি বা কনুইয়ের কাছাকাছি বাম হাত ধরে রাখা। ২. \u003cstrong\u003e মালিকি মাযহাব\u003c/strong\u003e : সাধারণত \u003cstrong\u003e হাত খোলা (ছাড়া)\u003c/strong\u003e রাখা হয় — অর্থাৎ, দুই হাত পাশে ঝুলে থাকে। তবে কখনও কখনও হাত বাঁধাও বৈধ, কিন্তু তা খুব প্রচলিত নয়। ৩. \u003cstrong\u003e শাফেয়ি মাযহাব\u003c/strong\u003e : হাত \u003cstrong\u003e বুকের ওপর\u003c/strong\u003e বাঁধা হয়। ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কব্জি বা কনুই ধরে রাখা হয়। ৪. \u003cstrong\u003e হানবলি মাযহাব\u003c/strong\u003e : হাত \u003cstrong\u003e বুকের ওপর বা একটু নিচে\u003c/strong\u003e বাঁধা যায়। ডান …

Read more »

Monday, June 9, 2025

ওলী আল্লাহ্‌র থেকে কোন বিষয়ে উপদেশ গ্রহন করা

💬 : 0 comment

\u003cb style\u003d\"font-family: Calibri, sans-serif; font-size: 11pt; text-align: justify;\"\u003e ওলী আল্লাহ্\u200cর\nথেকে কোন বিষয়ে উপদেশ গ্রহন করা রসূল পাক (সঃ) এর হুকুমের অনুসরণ করা হয়\u003c/b\u003e عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِاللّٰهِ الثَّقَفِيْ رضى الله عنه قَالَ لَمَّا بَعَثَ رَسُوْلِ اللّٰهِ ﷺ مَعَاذَآِلٰي الْيَمَنِ قَالَ يَامُعَذُ، بِمَ تَقْضِيْ؟قَالَ اَقْضِيْ بِكِتَابِ اللّٰهِ،قَالَ فَاِنْ جَاءَكَ اَمْرٌ لَيْسَ فِيْ كِتَابِ اللٰهِ وَلَمْ يَقْضِ فِيْهِ نَبِيُّهٗ وَلَمْ يَقْضِ فِيْهِ الصَّالِحُوْنَ قَالَ اَئُوْمُّ الْحَقَّ جَهْدِيْ قَالَ : رَسُوْلِ اللّٰهِ ﷺ اَلْحَمْدُلِلّٰهِ اَلَّذِيْ جَعَلَ رَسُولَ رَسُوْلِ اللّٰهِ ﷺ

Read more »