Labels

কাজ না করেও নেকি পাওয়া যায়।

বুখারী শরীফ প্রথম হাদিস

وَقَوْلُ اللهِ جَلَّ ذِكْرُهُ (إِنَّا أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ كَمَا أَوْحَيْنَا إِلَى نُوحٍ وَالنَّبِيِّينَ مِنْ بَعْدِ

এ মর্মে আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ ’’নিশ্চয় আমি আপনার প্রতি সেরূপ ওয়াহী প্রেরণ করেছি যেরূপ নূহ ও তাঁর পরবর্তী নবীদের (নবীদের) প্রতি ওয়াহী প্রেরণ করেছিলাম।’’ (সূরাহ্ আন-নিসা ৪/১৬৩)

إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ

ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়্যাত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশে- তবে তার হিজরত সে উদ্দেশেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরত করেছে।

প্রাসঙ্গিক আলোচনা

নিয়ত-এর পরিচয় নিয়ত শব্দের অর্থ ইচ্ছা করা। আর শরীআতের পরিভাষায় নিয়ত বলতে দু'টি জিনিস বুঝায়- (১) অভ্যাস থেকে ইবাদাতকে আলাদা করা; (২) এক ইবাদাত থেকে অন্য ইবাদাতকে আলাদা করা।

হাদীসে উল্লিখিত নিয়তের ওপর নির্ভরশীল, এর অর্থ হচ্ছে- কর্মের সাওয়াব বা শাস্তি নিয়ত অনুসারেই আল্লাহ নির্ধারণ করবেন। সেখানে বাহ্যিক কর্মের ওপর নির্ভর করা হবে না। দুনিয়ার কর্ম এর বিপরীত। সেখানে কেউ নিয়তের কথা বলে পার পেতে পারে না। তাদেরকে অবশ্যই তাদের কর্মের দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।

মহিলাকে বিবাহ করাও দুনিয়া লাভের উদ্দেশ্যের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু আলাদাভাবে উল্লেখ করার কারণ হচ্ছে, এ হাদীসটির প্রেক্ষাপট। এ হাদীসটির প্রেক্ষাপটের সাথে একজন মহিলা জড়িত ছিল বলে প্রতীয়মান হয়। যদিও সহীহ কোন বর্ণনা দ্বারা তা সাব্যস্ত হয়নি।

হাদিস থেকে শিক্ষা

১. প্রতিটি কাজের বিশুদ্ধতা, বিনষ্ট হওয়া, পূর্ণতা, অপূর্ণতা, আনুগত্য কিংবা অবাধ্যতা নির্ধারিত হবে নিয়তের ওপর। সুতরাং যদি কেউ লোক দেখানো কিংবা লোক শোনানোর উদ্দেশ্যে আমল করে তবে সে গুনাহগার হবে। যেমন যদি কেউ জিহাদ করে আল্লাহর দীনকে বুলন্দ করার জন্য তবে তার সাওয়াব পূর্ণতা পাবে, আর যদি সে আল্লাহর দীন বুলন্দ করার পাশাপাশি গনীমতের মাল পাওয়ার আশা করে তবে তার সাওয়াব কমে যাবে। আর যদি শুধু গনীমতের আশা করলে সে গনীমতের সম্পদই পাবে, গুনাহ না হলেও মুজাহিদের সাওয়াব পাবে না।

২. কোনো কাজের জন্য নিয়ত বা ইচ্ছা একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। কিন্তু সেটা মনে মনে স্থির করে নেয়াই যথেষ্ট। এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। বাড়াবাড়ি বলতে এমন করা যে, সেটাকে মুখে আওড়ানো বা বারবার বলা অথবা সে কাজের প্রতিটি অংশের মধ্যে সেটার উপস্থিতি তৈরি করা। এমনটি পরবর্তীতে ওয়াসওয়াসা বা কুমন্ত্রণার পর্যায়ে নিয়ে যাবে। কাজটি করার শুরুতে নিয়ত ঠিক করার পর বারবার বলার প্রয়োজন নেই।

৩. নিয়তের স্থান হচ্ছে অন্তর।  মুখে উচ্চারণ করা সুন্নাত ।

৪. লোক দেখানো কিংবা শোনানোর প্রবণতা থেকে সাবধান থাকতে হবে। কারণ তা ইবাদাত নষ্ট করে দেয়।

৫. অন্তরের আমল বা অন্তরের কাজের ব্যাপারে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, তার মাধ্যমেই ইবাদতের শুদ্ধাশুদ্ধি অনেকাংশে নির্ভর করছে।

৬. দ্বীন ও ইসলামের হেফাযতের জন্য অমুসলিম দেশ থেকে মুসলিম দেশে হিজরত করা অত্যন্ত সাওয়াবের কাজ, উত্তম ও উৎকৃষ্ট ইবাদত। তবে শর্ত হচ্ছে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তা সংঘটিত হওয়া।


গুদড়ী পরিধান করার শর্ত। condition to wear gudri

 

গুদড়ী/ মুরাক্কায়াত

গুদড়ী এটি একটি পোশাকের নাম যা আহলে সুফফাদের পরতে দেখা যায়। যা তারা নিজেদের শরীরে অতিরিক্ত একটি কাপড় হিসাবে পেঁচিয়ে রাখে। এই পেঁচিয়ে থাকা পোশাককে গুদড়ী বা মুরাক্কায়াত বলে।

আহলে সুফফাদের মতে, গুদড়ী পরিধান করা নবীদের সুন্নাত।

حدثنا أبو بكر بن إسحاق الفقيه ، أنبأ بشر بن موسى ، ثنا سعيد بن منصور ، ثنا خلف بن خليفة ، عن حميد الأعرج ، عن عبد الله بن الحارث ، عن ابن مسعود - رضي الله عنه - عن النبي - صلى الله عليه وآله وسلم - قال : " يوم كلم الله موسى كان عليه جبة صوف  ، وسراويل صوف ، وكمة صوف ، وكساء صوف ، ونعلان من جلد حمار غير ذكي

ইবনে মাসউদ রা্ঃ- আল্লাহ তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হোন - নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) - তাঁর এবং তাঁর পরিবারবর্গের উপর শান্তি বর্ষণ করুন - তিনি বলেছেন: "যেদিন আল্লাহ মূসা (আলাইহিস সালাম) এর সাথে কথা বলেছিলেন, সেদিন তিনি একটি পশমী চাদর, পশমী পায়জামা, একটি পশমী জুব্বা, একটি সুফের টুপি এমনকি একজোড়া সুফের জুতো পরিধান করেছিলেন।

রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম) নিজে সুফের জিনিস পরতেন,

ان أبي موسى قال :  كان رسول الله - صلى الله عليه وآله وسلم - يركب الحمار ، ويلبس الصوف ، ويعتقل الشاة ، ويأتي مراعاة الضيف

হজরত আবু মুসা রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম পশমী কাপড় পরিধান করতেন এবং তিনি গাধায় আরোহণ করতেন।

এমনকি তিনি পশমী কাপড় পরিধান করার নির্দেশ দিয়েছেন

من كتاب الفردوس قال النبي (صلى الله عليه وآله وسلم): عليكم بلباس الصوف تجدوا حلاوة الايمان، وقلة الاكل تعرفوا في الآخرة. وإن النظر إلى الصوف يورث التفكر والتفكر يورث الحكمة والحكمة تجري في أجوافكم مثل الدم

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, " তোমরা পশমের পোশাক পরো, তাহলে ঈমানের মিষ্টতা পাবে, আর অল্প খাও, তাহলে আখেরাতে তুমি পরিচিত হবে।" পশমের দিকে তাকালে মনন আসে, মনন জ্ঞান আনে, আর জ্ঞান রক্তের মতো তোমার শরীরে প্রবাহিত হয়।

এছাড়া তিনি হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর উদ্দেশে বলেন

وقوله صلى الله عليه وسلم لعائشةَ رضي الله عنها -كما أخرجه الترمذي وغيرُه مما صحّح الحاكم إسناده-: «يا عائشة! إن أردتِ اللحوق بي فليكفك من الدنيا كزاد الراكب، وإياك ومجالسة الأغنياء، ولا تستخلفي ثوباً حتى ترقعيه

রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম বলেন, ইয়া আয়েশা কাপড়ের অপচয় করো না। যতক্ষন পর্যন্ত কাপড়ে তালি লাগিয়ে পরবে।

    হজরত হাসান রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি বদর যুদ্ধে ৭০ জন সাহাবীকে দেখেছি তারা পশমের কাপড় পরিধানরত অবস্থায় যুদ্ধ করতে। এছাড়াও হজরত ওমর ফারুক রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমরা হজরত ওয়ায়েজ করনী রহ্মাতুল্লাহি আলাইহিকে পশমের তালিযুক্ত কাপড় পরধানরত অবস্থায় দেখেছি।

   মুহাম্মাদ ইবনে আলী তিরমিজি তার লিখিত কিতাব তারিখ উল মাশায়েখ এ লিখেছেন, হজরত ইমাম আবু হানিফা রহ্মাতুল্লাহি আলাইহি প্রথমদিকে পশমের পোশাক পরিধান করে নির্জনতা অবলম্বন করছিলেন। অতঃপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম  কে স্বাপ্নে ইরশাদ করতে শুনলেন তোমার কি কর্তব্য নয় যে আমার সুন্নাত কে পুনঃজীবিত করার জন্য মানুষের সাথে মেলামেশা করবে। সাথে সাথেই তিনি নির্জনতা ত্যাগ করলেন। কিন্তু এরপরও তিনি মূল্যবান কাপড় পরিধান করতেন না।

আহলে সুফফাদের নিকট গুদড়ী একটি সন্মানিত ও অতিপ্রিয় পোশাক। এই পশাকে সন্মান পাওয়া যায় এবং লাঞ্ছনাকে শুষে নেয়। তারা বলেন, আমরা গুদড়ী ও গুদড়ী পরিধানকারীকে ভালবাসি।

গুদড়ী পরিধান করার শর্ত

আহলে সূফীরা সর্বদাই গুদড়ী পরিধান করতেন এবং তাদের অনুসারীদের গুদড়ী পরিধান করার আদেশ করতেন। গুদড়ী পরিধান করার শর্ত এবং কাফন পরিধান করার শর্ত একই। তবে সূফীদের ক্ষেত্রে গুদড়ী পরতেই হবে এমনটা নয়। কেননা, যেমন  অনেক মাশায়েখ গুদড়ী পরিধান করেছেন ঠিক তেমনি অনেক মাশায়েখ গুদড়ী ত্যাগ করেছেন।

গুদড়ী ত্যাগ করার কারণ

তারা সবসময় সফরে থাকতেন সুতারাং সাদা কাপড় খুব তাড়াতাড়ি ময়লা হয়ে যায় যা পরিস্কার করতে সমস্যা দেখা দেয়। সেজন্য তারা গুদড়ী ত্যাগ করেছিলেন।

গুদড়ীকে ভালবাসার কারণ

কেননা তারা নির্জনতা পছন্দ করতেন। এছাড়াও সাদা কাপড় শোক ও দুঃখের প্রতীক এবং শোকাহতদের পোশাক। যেহেতু পৃথিবীকে দুঃখের আবাসাস্থল বলা হয়। আর তারা পৃথিবীকে ত্যাগ করে আল্লাহর মোশহাব্বতে ডুবে থাকতেন। সেজন্য তারা গুদড়ী পরিধান করতেন এবং গুদড়ী ভালবাসতেন।

যদি তুমি আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য ও সূফীদের সাথে মিল রাখার জন্য এই পোশাক পরতে চাও তাহলে তোমাকে মোবারক।

গুদড়ী দুই ধরণের লোকের জন্য জায়েজ

১) যে দুনিয়া ত্যাগ করতে সক্ষম।

২) আল্লাহর প্রেমে ডুবে থাকতে সক্ষম।

কোন কামেল মুর্শিদের কোন মুরিদ পরকালের প্রার্থী হয়ে সম্পর্ক স্থাপন করেন তখন তিনি তার ওই মুরিদকে তিন বছরের আদব শিক্ষা দান করেন। এবং তাকে তরিকতের পথে চলার নিয়ম কানুন বলে দেন। মুরিদ যদি তার পীরের  এই পরীক্ষায় পাস করেন তবে তার জন্য সৌভাগ্য। অন্যথায় পীর তাকে বলে দেন কোন তরিকত তোমাকে গ্রহন করছে না।

এই তিন বছরের পরীক্ষা

১) এক বছর সৃষ্টির খেদমত করা।

২) একবছর আল্লাহর দাসত্ব করা।

৩) একবছর নিজের অন্তরকে রক্ষণাবেক্ষণ করা।

যখন এই শর্তগুলী মুরিদ পুরন করতে সক্ষম হন তখন তাকে গুদরী পরিধান করার আদেশ দেন।



সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয় কে তৈরি করেছিনেন। who estublished first university

 

বিশ্ববিদ্যালয়

আমরা যখন উচ্চশিক্ষার কথা স্বরণকরি তখন আমাদের মনে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়। মুসলিম জাতি হিসাবে আমাদের জেনে রাখা দরকার কে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন। আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য দলিল-দস্তাবেজও বলে, বিশাল ও অসামান্য এ কীর্তি-অবদান মুসলমানদের। গিনেজ বুকের রেকর্ড অনুসারে, মরক্কোর ফেজ নগরীর কারাওইন বিশ্ববিদ্যালয়ই হচ্ছে পৃথিবীর সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়।

ইউনাইটেড ন্যাশনস এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন বা ইউনেস্কোও স্বীকৃতি দিয়েছে, বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে মুসলিমরা। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন একজন পুণ্যবতী মুসলিম নারী।

ফাতিমা বিনতে মুহাম্মাদ আল ফিহরিয়া আল কুরাশিয়া  ৮০০ ce কাইরুয়ান(তুনিসিয়া) তে জন্মগ্রহন করেন এবং ৮৮০ ce তে মারক্কো তে মৃত্যুবরণ করেন। তার বাবা মুহাম্মদ আল-ফিহরি ছিলেন, ফেজ নগরীর বিত্তশালী ব্যবসায়ী।  আল-ফিহরি পরিবার ফেজে আসেন নবম শতাব্দীর প্রথম দিকে। তাদের সঙ্গে কারাওইন থেকে সমাজের বেশ কিছু লেখকও ফেজে এসে নগরীর পশ্চিমাংশে বসবাস শুরু করেন। ফাতিমা আল ফিহরি ও তার বোন মরিয়ম আল-ফিহরি উভয়েই ছিলেন সুশিক্ষিত। তারা উত্তরাধিকার সূত্রে পিতার কাছ থেকে প্রচুর অর্থ-বিত্ত লাভ করেন।  ফাতিমা তার অংশের সব অর্থ খরচ করেন লেখকদের জন্য সুবিধাসম্পন্ন একটি মসজিদ তৈরির কাজে। ৮৫৯ সালে কারাওইন বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। কেবল ইবাদতের স্থান না হয়ে এই মসজিদ শিগগিরই হয়ে ওঠে ধর্মীয় নির্দেশনা ও রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্র। ইতালির বোলোনায় যখন প্রথম ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়, তারও আগে কারাওইন হয়ে ওঠে বিশ্ব বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়। 

শুরুতে এটি ছিল ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্র। পরে সেখানে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে পারিপার্শ্বিক বিষয়য়াদি পড়ানো হয়। অল্প সময়ে এর ছাত্রসংখ্যা দাঁড়ায় আট হাজারে। তারা সেখানে চিকিৎসাবিদ্যা থেকে শুরু করে ইতিহাস-ভূগোলসহ অনেক বিষয়েই উচ্চশিক্ষা লাভ করতে থাকেন।  ফেজকে তখন বলা হতো, ‘পাশ্চাত্যের বাগদাদ’—‘বাগদাদ অব দ্য ওয়েস্ট’। ১৯১২-৫৬ সময়ে মরক্কো ফ্রান্সের অধীনে ছিল। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়টি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়ায়। ইউরোপের ষড়যন্ত্রের শিকার হয় ঐতিহ্যবাহী এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ওই সময় সেখানে পরীক্ষা ও ডিগ্রি দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।  এই বিশ্ববিদ্যালয় মধ্যযুগে মুসলমান ও ইউরোপীয়দের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাবিষয়ক জ্ঞান বিনিময়ের ক্ষেত্রে সুবিশাল ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।  অগ্রণায়ন পণ্ডিত ইবনে মাইমুন, আল-ইদ্রিসি, ইবনে আরাবি, ইবনে খালদুন, ইবনে খতিব, আল-বিতরুজি (অ্যালপে ট্রেজিয়াম), ইবনে হিরজিহিম ও আল ওয়্যাজ্জেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বা শিক্ষক ছিলেন।

অনেক অমুসলিমও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম অমুসলিম অ্যালামনি ছিলেন- ইহুদি দার্শনিক ও ধর্মতত্ত্ববিদ মুসা বিন মাইমুন বা মাইমোনাইডস। 



হজরত জাফর সাদেক এর জীবনী। hajrat jafor sadik

 

হযরত জা'ফর সাদেক রহমাতুল্লাহ আলাইহি

   হযরত জা'ফর সাদেক রহমাতুল্লাহ আলাইহি তাঁর উপনাম আবু মুহাম্মদ । তিনি হযরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চাচাতো ভাই ও জামাতা হযরত আলী কাররামাল্লাহুর বংশধর ছিলেন। তাঁর জীবনী সর্বপ্রথমে এই গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করা হল । তিনি কোরআন, হাদীস ও এলমে মা'রেফতে একজন বিশেষ জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মাওলার একজন খাঁটি আশেক ছিলেন। 

কতল করার জন্য ডেকে সম্মান দান-  তৎকালীন বাদশাহ্ খলীফা মসূর হযরত সাদেকের বিরাট ব্যক্তিত্ব ও তাঁর প্রতি লোকজনের অগাধ ভক্তি ও ভালবাসা দেখে অত্যন্ত চিন্তিত ও ভীত হয়ে পড়েন। তাই তাঁর উযীরকে ডেকে বললেন, “যাও, সাদেককে ধরে আন, আমি তাঁকে কতল করব।” উযীর বিনীতভাবে আরয করলেন, “বেচারা নীরবতার মধ্যে থেকে ইবাদতে মশগুল, সংসার হতে স্বীয় হস্তকে গুটিয়ে নিয়েছেন, তাঁর পতি ক্রোধ প্রকাশ করলে ও তাঁকে কতল করলে আপনার কি উপকার হবে? খলীফা বললেন, “যাই হোক না কেন, তাঁকে আমার দরবারে আনতেই হবে।” উযীর পুনপুনঃ নিষেধ করেও যখন খলীফার মনের গতি ফিরাতে পারলেন না, তখন হযরত সাদেককে ডাকতে গেলেন। খলীফা চাকর-নওকরদেরকে ডেকে বললেন, মুহূর্তে সাদেককে দরবারে হাজির করা হবে, আমি তখনই মাথার তাজ খুলে ফেলব। এটা দেখলে তোমরা সাদেকের মস্তক দুই টুকরা করে ফেলবে।” হযরত সাদেক রহমাতুল্লাহ আলাইহি যথাসময়ে খলীফা মসূরের দরবারে পৌছলেন। মসূর উঠে বিনীতভাবে হাঁটু নত করে হযরত সাদেককে তাঁর তখতে বসালেন। দরবারে উপস্থিত লোকেরা এটা দেখে অত্যন্ত আশ্চর্যান্বিত হল। মসূর হযরত সাদেককে বললেন, “আপনি আমার কাছে কি চান?” হযরত সাদেক উত্তরে বললেন, “আমাকে আবার ডেকে আমার ইবাদতে বিঘ্ন ঘটাবেন না, এটাই আমি চাই।” খলীফা মসূর স্বসম্মানে তখনই তাঁকে বিদায় দিলেন। তাঁকে বিদায় দানের পরক্ষণেই খলীফা সরের কম্পন উপস্থিত হল এবং তিনি বেহুঁশ হয়ে পড়েন। এই অবস্থায় তাঁর তিন ওয়াক্ত নামায কাযা হয় । 

খলীফার জ্ঞান ফিরে আসলে উযীর আরয করলেন, “আপনার এ অবস্থা হল কেন?” খলীফা বললেন, “যখন হযরত সাদেক আমার দরজায় প্রবেশ করেন, তখন তাঁর সাথে আমি এক অজগরকে দেখলাম। অজগরটি যেন ফণা বিস্তার করে আমাকে বলছিল, “হে মনসুর! যদি তুমি সাদেককে কষ্ট দাও, আমি তোমাকে দংশন করব।” এর ভয়ে আমি হযরত সাদেকের খেদমতে ওযর-আপত্তি জানিয়ে মা'ফ চাইলাম এবং বেহুঁশ হয়ে পড়লাম।" 

নেক আমল দ্বারা মুক্তির আশা করা যায় বংশ দ্বারা নয়- হযরত দাউদ তায়ী একদিন হযরত সাদেকের কাছে এসে বললেন যে, আপনি যেহেতু হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বংশধর আমাকে কিছু নসীহত করুন। হযরত সাদেক বললেন, “সোলায়মান! তুমি বর্তমান সময়ের একজন যাহেদ। আমার নসীহতে তোমার কি প্রয়োজন? সোলায়মান বললেন, “হে পয়গম্বরের বংশধর! আপনি বর্তমানে দুনিয়ার সকল মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলে আমাদেরকে নসীহত করা আপনার উপর ওয়াজিব।” হযরত সাদেক বললেন, “কিয়ামতের দিন যদি আমার নানাজি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, “তুমি কেন আমার তাবেদারী করলে না? উচ্চ বংশ দ্বারা নসীহত হয় না, আমল (কর্ম) দ্বারাই সত্যকে বুঝতে পারা যায়”, তখন আমি কি উত্তর দেব?” এই ভয়ে আমি কম্পিত। এতদশ্রবণে হযরত সোলায়মান বহুত নসীহত গ্রহণ করলেন এবং “কেঁদে বললেন, 'হে আল্লাহ্, তোমারই নবীর রক্তের মিলনে যাঁর শীর গঠিত, যাঁর চরিত্র রাসুলল্লাহর চরিত্রের আদর্শে গঠিত, যাঁর নানাজী তোমার রাসূল, মা আদর্শ মহিলা, তিনিই যখন নিজ কার্য সম্বন্ধে এতটা ভীত ও সন্ত্রস্ত, তখন দাউদ এমন আর কোন্ মানুষ যে আপন কার্যে খুশী হবে।” 

   একদিন হযরত সাদেক বন্ধুদেরকে বললেন, “আস্, আমরা সকলে এই প্রতিজ্ঞা করি-আমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন মুক্তি পাবে, সে অপরের গুনাহ্ মাগফেরাতের জন্য আল্লাহ্ পাকের দরবারে সুপারিশ করবে।” তাঁরা বললেন, “সাদেক! আমাদের এই প্রকার প্রতিজ্ঞার কি প্রয়োজন? আপনার নানাজী স্বয়ং সুপারিশকারী।” হযরত সাদেক উত্তরে বললেন, “আমি নিজের কাজের জন্য হাশরের দিন নানাজীর প্রতি দৃষ্টিপাত করতে লজ্জাবোধ করি। এজন্য আপনাদের কাছে আরয করেছিলাম।” 

পোশাকের বিধান- একদিন হযরত সাদেককে মুল্যবান পোশাক পরানো হয়েছিল। এটা দেখে এক ব্যক্তি বলল, “আপনি নবীর বংশধর। এরূপ সুকোমল মুল্যবান পোশাক আপনার পক্ষে শোভা পায় না।”  হযরত সাদেক তাঁর আস্তিনের ভিতরের দিকে নযর করতে তাকে ইঙ্গিত করলেন । আস্তিনের নীচে মোটা কাপড় খসখসে বোধ হল । তিনি বললেন, “আমার একটি জামা আল্লাহ্ তাআলার দরবারে নামায পড়ার জন্য অন্যটি মানবসমাজে চলাফেরার জন্য।” 

নসীহতপূর্ণ ঘটনা- একদিন এক ব্যক্তি হাজার টাকার একটি থলে হারিয়ে ভুলক্রমে হযরত সাদেককে আক্রমণ করে । ঐ ব্যক্তি হযরত সাদেককে চিনত না। হযরত সাদেক বললেন, ”থলেয় কত টাকা ছিল?” সে বলল, “হাজার টাকা।” তিনি তাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ীতে গেলেন এবং হাজার টাকা দিয়ে দিলেন। পরে লোকটি তার টাকা পেয়ে হযরত সাদেকের টাকাগুলো ফেরত নিয়ে আসল। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করলেন না; বরং বললেন, “আমি যা দান করেছি, তা আবার গ্রহণ করি না।” লোকটি হযরত জা'ফর সাদেককে চিনতে পেরে অতিশয় লজ্জিত হল । 

   একদিন হযরত সাদেক কোন এক রাস্তার উপর দিয়ে “আল্লাহ্ আল্লাহ্” যিকির করতে করতে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ে একজন দুঃখী লোক 'আল্লাহ' 'আল্লাহ' বলতে বলতে তাঁর সাথী হয়ে গেল। এমন সময় হযরত সাদেক বললেন, “আল্লাহ্! পরনে কাপড় নেই, গায়ে চাদরও নেই।” হঠাৎ গায়েব হতে কয়েকটি মূল্যবান কাপড় পেলেন ও তা পরিধান করলেন। এটা দেখে সঙ্গের দুঃখী ব্যক্তি বলল, “আল্লাহ্ যিকিরে আমিও আপনার সঙ্গে শরীক ছিলাম, কাজেই আপনার পুরাতন কাপড় আমাকে দান করুন।” হযরত তৎক্ষণাৎ তাকে পুরাতন জামাগুলো সদ্‌কা দিলেন । 

নসীহত করার তরীকা এক ব্যক্তি হযরত সাদেকের কাছে এসে বলল, “আমি আল্লাহকে দেখতে চাই, তাঁকে আমার কাছে হাযির করুন।” হযরত সাদেক বললেন, “তুমি কি শুননি যে, আল্লাহ্ মূসাকে বলেছিলেন, 'তুমি কখনই আমাকে দেখতে পাবে না' সে বলল, “হাঁ, তবে এটা মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দ্বীন ইসলাম । হযরত মূসার যুগ অতীত হয়ে গেছে। তাছাড়া মিল্লাতে মোহাম্মাদীর গণ্ডির ভিতরে থেকে কোন এক ওলী বলতেন, আমার অন্তর আমার রবকে দেখেছে । এটা শুনে অপর এক ওলী চীৎকার করে বলে উঠলেন, তাঁকে না দেখে আমি রবের ইবাদত বন্দেগী করি না। এটা শুনে হযরত সাদেক মুরীদদেরকে বললেন, “একে বাঁধ ও নদীতে ফেলে দাও।” তাঁকে নদীতে ফেলে দেওয়া হল । ‘কিন্তু পানি তাঁকে উপরে উঠিয়ে দিয়েছিল এবং হযরতের কাছে সাহায্য চাইল । হযরত সাদেক এটা দেখে পানিকে বললেন একে ভালোমত হাবুডুবু খাওয়াও। কিছুক্ষণ হাবুডুবু খাওয়ার পর যখন মরণাপন্ন ও নিরাশ হয়ে পড়ল, তখন সে “আল্লাহ্ আল্লাহ্” বলে চীৎকার করে উঠল। হযরত সাদেক বললেন, “তাকে উঠিয়ে আনো।” কিছুক্ষণ পর লোকটি শান্ত হলে হযরত সাদেক জিজ্ঞেস করলেন, “কেমন, আল্লাহকে দেখেছ?” সে উত্তর করল, “যতক্ষণ অপরের সাহায্য চাচ্ছিলাম, ততক্ষণ পর্দার আড়ালে ছিলাম । কিন্তু যখন খাঁটি মনে আল্লাহ্কাছে সাহায্য চাইলাম, তখন অন্তরের মুখ খুলে গেল ও প্রথমবারের মত কষ্ট কমে গেল। যেমন, আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন, কে আছে ফরীয়াদকারীর ফীয়াদের উত্তর দেবে?” 

হযরত সাদেক বললেন, “যতক্ষণ তুমি আমাকে ডাকছিলে ও আমার উপর ভরসা করছিলে, ততক্ষণ তুমি অসত্যবাদী ছিলে। এখন যে জ্ঞান লাভ করলে, তা অতি-যত্নের সাথে মনে রেখ।"

নসীহত

গুনাহ্ কাজ করার সময়ে ভীত হওয়া এবং শেষে মাগফেরাত কামনা করা একটি বিশেষ গুণ । এটা সুফীকে আল্লাহ্র নৈকট্য লাভ করায় এবং যে ইবাদতের শুরুতে ভয় এবং শেষে ওযর ও অনুতাপ না থাকে সেই ইবাদত সুফীকে আল্লাহ্ রহমত হতে রাখে । 

* অহংকারী সুফীকে প্রকৃত সুফী বলা যায় না। কারণ, সে গোনাহগার; আর যিনি মা'রেফাত কামনা করেন তিনিই সুফী-শ্রেণীভুক্ত। 

* পাঁচ ব্যক্তির সাথে সংস্রব রেখ না । 

(ক) মিথ্যুক তাকে সঙ্গে রাখলে ঠকবে। সে তোমার হিতকামী হতে পারে, কিন্তু নিজ মুর্খতার দরুন তোমার অমঙ্গল চাইবে। 

(খ) কৃপণ-সে সর্বদা নিজের লাভের জন্য তোমার ক্ষতি করবে। 

(গ) নির্দয়-অভাবের সময় সে তোমাকে ধ্বংস করবে। 

(ঘ) কাপুরুষ-তোমার প্রয়োজনের সময় সে তোমাকে ত্যাগ করবে। 

(ঙ) ফাসেক-তার লোভ-লালসা অত্যন্ত বেশী। নিজ স্বার্থের খাতিরে সে তোমাকে প্রাণে হত্যা করতেও পারে। 

এই দুনিয়াতেই বেহেশত ও দোযখের নমুনা বুঝার শক্তি আল্লাহ্ তাআলা মানুষকে দিয়েছেন । শান্তি হল বেহেশ্ত ও দুঃখ-কষ্ট হল দোযখ। সঙ্গলাভ হল বড় জিনিস । কিন্তু অনেক সময় কাফেরের সঙ্গেও ওলী থাকে এবং পয়গম্বরের সঙ্গেও কাফের ছিল। হযরত আসীয়া ছিলেন ফেরআউনের বিবি। অপরপক্ষে হযরত নূহ এবং হযরত লূত (আঃ)-এর বিবিরা কাফের ছিল। এজন্য নেক সঙ্গলাভের মধ্যে নেক নিয়ত থাকতে হবে ।

সোহরওয়ারর্দীয়া মোজাদ্দেদিয়া রহমানিয়া শাজারা শরীফ। SHAJARA SHARWARDIYA MOJADDEDIYA RAHMANIA

 

সোহরওয়ারর্দীয়া  মোজাদ্দেদিয়া রহমানিয়া শাজারা শরীফ

১) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ  হজরত সায়্যিদিনা ও মাওলানা মোহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম ।

২) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত সায়্যিদিনা আমিরুল মোমিনীন আলী ইবনে আবি তালিব কাররামাল্লহু ওয়াজহাহুর ।

৩) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ ইমাম হুসাইন রাজিআল্লাহু আনহুর।

 ৪) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম জইনুল আবেদিন রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

৫) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম মোহাম্মাদ বাকের রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

৬) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম জাফর আল সাদেক রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

৭) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম মুসা আল কাজেম রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

৮) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম আবু আল হাসান আলি বিন মুসা রেজা রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

৯) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম মারুফ কারখি রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

১০) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম সাররি সাকতি রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

১১) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম জুনাইদ আল বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

১২) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম আবু আলী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

১৩) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম আবু আলী কাতিব রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

১৪)  এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম উসমান মাগরিবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

১৫)  এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম আবু আল কাসেম গারগানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

১৬) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম আবু বকর নিশাজ রহমাতুল্লাহি আলাইহির।

১৭)  এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম জিয়াউদ্দিন আবু নাজীব রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

১৮) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম শিহাবউদ্দিন সোহরওয়ারর্দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

১৯)  এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম সাদারুদ্দিন আরিফ  সোহরওয়ারর্দী  রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

২০) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ  হজরত ইমাম বাহাউদ্দিন জিকরিয়া সোহরওয়ারর্দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

২১) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ  হজরত ইমাম সাদরউদ্দিন আরিফ সোহরওয়ারর্দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

২২) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম রুকুনউদ্দিন  সোহরওয়ারর্দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

২৩) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম মাখদুম জালালউদ্দিন রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

২৪) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম আজমল শাহ্ রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

২৫) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম সৈয়দ বুদান শাহ্ রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

২৬) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম দরবেশ মোহাম্মাদ বিন কাশিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

২৭) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম আব্দুল কুদ্দুস গাঙ্গুহী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

২৮) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম শাহ্ রুকুনউদ্দিন রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

২৯) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম আব্দুল আহাদ  রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

৩০) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম মোজাদ্দেদ আলফেসানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

৩১) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম মাসুম সিরহিন্দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

৩২) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম মোহাম্মাদ জুবাইর রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

৩৩) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম জিয়াউল্লাহ কাশমিরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

৩৪) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ  হজরত ইমাম মোহাম্মাদ আফাক দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

৩৫)এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম ফাজলে রহমান গঞ্জে মুরাদাবাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

৩৬) এলাহি বে-হুরমাতে রাজ ও নিয়াজ শায়েখ হজরত ইমাম আজানগাছী  রহমাতুল্লাহি আলাইহি।